এই ঘটনা ভারতের উত্তর প্রদেশের। এই রাজ্যের বাসিন্দা আলকা। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে অতিষ্ঠ। কারণ- একবার তার ১৭ বছরের মেয়ে একজন প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। তবে, প্রেমিক আসলে কে; তাকে মা (আলকা) জানতেন কিংবা চিনতেন না। এরপর অনেক কষ্টে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন মেয়েকে।
তবে বাড়ি ফেরার পর থেকে মেয়ের ব্যবহারে রীতিমত অতিষ্ঠ তিনি। পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ফন্দি আঁটেন তিনি। ভাবেন, একজন প্রফেসনাল হিটম্যান দিয়ে মেয়ে বিদায় করে দেবেন পৃথিবীতে থেকে চিরতরে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সী মা (আলকা) হিটম্যানকে ভাড়া করার জন্য যোগাযোগ করেন ৩৮ বছর বয়সী সুভাষ সিংয়ের সাথে। নিজের মেয়েকে হত্যা করার জন্য অর্থ প্রদান করেন সুভাষকে।
সব পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছিলো। তবে, মা জানতেন না, সুভাষ তার মেয়ের প্রেমিক। আলকার মেয়ে এর আগে তাদের এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু তিনি জানতেন না যে তার মেয়ে কার সাথে সম্পর্ক করছে। ফারুখাবাদে তার মামার বাড়িতে পাঠানোর পর সুভাষের সঙ্গে ওই কিশোরীর ফোনালাপ শুরু হয়।
গত ২৭শে সেপ্টেম্বর, আলকা, সুভাষকে তার মেয়েকে হত্যা করার জন্য ৫০,০০০ রুপি প্রস্তাব করেছিলেন। এরপর, সুভাষ তার প্রেমিকার কাছে পরিকল্পনাটি প্রকাশ করেন। সেই সাথে, একটি বিকল্প প্রস্তাব করেন। অবশেষে, মেয়ের জায়গায় তার মাকে হত্যা করবে, যদি সে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। হিটম্যান রাজি হয় এবং খুন করে মা-কে।
এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুভাষ ও আলকার মেয়ে তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। স্থানীয় সময়, বুধবার রাতে সুভাষ ও ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাটিকে নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এমন মামলা বিরল!